করোনা পরিস্থিতিতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় পিছিয়ে আজ শুরু হচ্ছে ‘অমর একুশে বইমেলা’। বাংলাদেশের বই কেন্দ্রিক সবচেয়ে বড় আয়োজনটির ৩৭তম আসর বসছে এবার, চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
জাতীয় জীবনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক পার করছে চলতি বছরে। এক দিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও অন্যদিকে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, দুই উপলক্ষই এবারের মেলার থিম।
মঙ্গলবার মেলার বিস্তারিত তুলে ধরে বাংলা একাডেমি। সেদিন জানানো হয়, ১৮ মার্চ বিকেল ৩টায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই অনুষ্ঠানে দেওয়া হবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার।
এবার বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিটসহ মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এ ছাড়া লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি ৫টি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে।
তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার প্রথমদিকে শিশু প্রহর থাকছে না এবার।
এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।
এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব পাশে নতুন একটি প্রবেশ পথ করা হয়েছে। প্রকাশকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রমনা প্রান্তে একটি প্রবেশ পথ ও পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা। যার ফলে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পাশ দিয়ে অতিথিরা প্রবেশ করতে পারবেন। সব মিলিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩টি প্রবেশ পথ ও ৩টি বাহির হওয়ার পথ থাকবে।
ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা চলবে বইমেলা।
করোনার কথা বিবেচনায় রেখে এবার মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না বইমেলায়।