করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একই সাথে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্ৰহণ ও মূল্যায়ন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
আর পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এসব নির্দেশনা মেনে চলতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে কভিড-১৯ এর ভয়াবহতা আগের চেয়ে আরও বিস্তৃত হচ্ছে। কমিশন মনে করে, এ পরিস্থিতিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা গ্রহণ ও সামার সেমিস্টারে ভর্তি কার্যক্রম চালু রাখার মতো কোনো অনুকূল পরিবেশ নেই।
বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ে কমিশন ও সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। চলমান পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় রেখে কমিশন থেকে গত ৬ এপ্রিল জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটলে কমিশন এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে পরামর্শ বা নির্দেশনা দেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে।
নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকার কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন ও অনুসরণ করাতে বিজ্ঞপ্তিতে উচ্চশিক্ষা পরিবারের সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিছু কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির পরামর্শ অমান্য করে অনলাইনে পরীক্ষা গ্ৰহণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমনকি দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কিছু কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সামার সেমিস্টারে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ ধরনের কার্যক্রম কোনোভাবেই গ্ৰহণযোগ্য নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সেমিস্টার ফাইনাল ছাড়া গ্ৰেড প্রদান, মূল্যায়ন এবং কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, যা নৈতিকতার বিচারে ঠিক নয়। ইউজিসির আদেশে এধরনের কার্যকলাপের কথা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে বিজ্ঞপ্তিতে মন্তব্য করেছেন ইউজিসি। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনতিবিলম্বে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলা এবং ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য উচ্চশিক্ষা পরিবারের সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে ইউজিসি।
গত ২৪ মার্চ ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি সাময়িকভাবে পূরণের লক্ষ্যে শিক্ষকদের অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছিল।
এই সাইটে প্রকাশিত তথ্য, সংবাদ, ছবি, অডিও-ভিডিও ও যেকোনো উপাদান গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার ও প্রদর্শন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ‘বাংলা বাহন’ রেফারেন্স উল্লেখ করতে হবে।