শিশু ধর্ষণ মামলায় সপ্তম কার্যদিবসে আবদুল মান্নান সরদারের (৫২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২। সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নূরে আলম চাঞ্চল্যকর এই মামলায় রায় দেন। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মান্নান মোংলা উপজেলার মাকোড়ডোন গ্রামের ভূমিহীন আশ্রয় প্রকল্প এলাকার মৃত আহম্মদ সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণ ও সংশ্লিষ্টরা জানান, ভূমিহীন আশ্রয় প্রকল্পে পিতৃহারা সাত বছর বয়সী শিশু মামার কাছে থাকে। গত ৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টা দিকে প্রতিবেশী মান্নান শিশুটাকে বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দিয়ে নিজের ঘরে ডেকে নেন। এরপর তাকে ধর্ষণ করেন।
পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে ওইদিন রাতেই শিশুটার মামা মোংলা থানায় মান্নানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ মুখার্জি তদন্তে ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ১৬ সাক্ষী রেখে আট দিন পর মান্নানের বিরুদ্ধে ১১ অক্টোবর আদালতে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
স্পর্শকাতর হওয়ায় জুডিসিয়াল আদালত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ পাঠায়। বিচারক গত ১১ অক্টোবর মামলাটি আমলে নিয়ে পরদিন চার্জ গঠন করেন। ১৩ অক্টোবর ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
পরদিন মামলার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নারী পুলিশ সদস্য এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ১৫ অক্টোবর আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য নেন।
উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ধার্য দিনে সোমবার দুপুরে রায় দেন।