করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে পর্যটকরা প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যেতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই নৌরুটে সব পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত নৌযান চলাচল করবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের জন্য নৌযানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের নির্দেশ কেউ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া দ্বীপে সকাল থেকে পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণকারীদের ফিরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও দ্বীপে কোনো পর্যটক থেকে যায়, তাদের ফেরত আনতে আমরা সহায়তা করব।’
বুধবার রাতে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নৌপথে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই নৌরুটে সব পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এই নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের নির্দেশ কেউ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া দ্বীপে সকাল থেকে পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণকারীদের ফিরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও দ্বীপে কোনো পর্যটক থেকে যায়, তাদের ফেরত আনতে আমরা সহায়তা করব।’
কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম এবং এমভি শহীদ সালামের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে সব পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। এর আগে যেসব পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে এসেছিলেন; তাদের ফেরত আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানায়, গত বছরের ১২ নভেম্বর থেকে এ নৌপথে পর্যটক পরিবহনের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে আটটি জাহাজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। জাহাজগুলো হলো— গ্রিন লাইন-১, বে ক্রুজ, এমভি পারিজাত, এমভি আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান-১, কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও এমভি শহীদ সালাম।